যারা ঈমান আনে, আমলে সালিহা করে এবং সৎকর্মপরায়ণশীল, রব্বের প্রতি বিনয়াবনত, রব্বের ভয়ে ভীত, তারাই হলো আসহাবুল জান্নাত- জান্নাতের অধিবাসী, তারাই দাখিল হবে জান্নাতে, তাদের জন্যে রয়েছে তাদের রব্বের রহমত, সন্তোষ, সমুচ্চ মর্যাদা, জান্নাতে উত্তম সুউচ্চ প্রাসাদ, উন্নত কক্ষ ও নিরাপদ বাসস্থানের প্রতিশ্রুতি।
তারাই হবে জান্নাতের উত্তম পবিত্র অধিবাসী, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে আছে তাদের জন্য চির সবুজ উদ্যান ও স্থায়ী সুখ-শান্তি, সেখানে নাই কোন ক্লেশ, নাই কোন ক্লান্তি, এটি হবে তাদের জন্য এক নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।
থাকবে অপরিমিত জীবনোপকরণ, তারা যা কিছু কামনা করবে তাই পাবে, আর তা হবে তাদের রব্বের পক্ষ থেকে মর্যাদাপূর্ণ আপ্যায়ন। প্রথম মৃত্যুর পর তারা সেথায় আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না।
জান্নাতের দ্বার তাদের জন্য হবে উন্মুক্ত, সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী, থাকবে সেথায় বহুবিধ ফলমূল ও পানীয়, আনতনয়না সমবয়স্কাগণ, অপরিমিত রিযিক, আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে জান্নাত হবে কত উৎকৃষ্ট! মুত্তাকীদের জন্য ইহাই মহাসাফল্য।
যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের নির্ধারিত রিযিক ফলমূল, সেখানে তাদেরকে সম্মানিত করা হবে, তাদেরকে দান করা হবে জান্নাতুন নায়ীম, সেখানে তারা মুখামুখি আসনে আসীন হবে।
তাদেরকে পরিবেশন করা হবে শুভ্র-উজ্জ্বল পাত্রে বিশুদ্ধ সুরা যা পানকারীদের জন্য হবে অত্যন্ত সুস্বাদু, তাতে থাকবে না কোন ক্ষতিকর কিছু, না তারা মাতাল হবে, তাদের সঙ্গে থাকবে স্ত্রী হিসাবে আনত-নয়না আয়তলোচনা হুরগণ, তারা দেখতে হবে যেন সুরক্ষিত ডিম্ব।
জান্নাতীরা আনন্দে মগ্ন থাকবে মনোরম স্থানে, সমবয়স্কা উদ্ভিন্ন যৌবন তরুণ ও যৌবনা তরুণী, নিজ-নিজ স্বামী-স্ত্রীরা হেলান দিয়ে বসবে সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে, অবলোকন করবে জান্নাতের সৌন্দর্য্য, অবলোকন করবে জাহান্নামীদের দূর্দশা।
জান্নাতীদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দের দীপ্তি ফুটে উঠবে, সেথায় থাকবে তাদের জন্য সবরকমের ফলমূল এবং বাঞ্ছিত সবকিছু, সেথায় তারা সমাসীন হবে সুসজ্জিত আসনে, সেখানে তারা না গরম, না শীত বোধ করবে। সন্নিহিত বৃক্ষছায়া থাকবে তাদের উপর, ফলমূল থাকবে সম্পূর্ণরূপে তাদের আয়াত্তাধীন, আর থাকবে তাদের রব্বের পক্ষ থেকে “সালাম” সম্ভাষণ।
রেফারেন্স: আল-কুরআন (সুরা:আয়াত) অবলম্বনে: ৭:৪২; ৯:২১, ৯:৭২; ৯:৮৯; ৯:১০০; ১০:২৬; ১১:২৩; ১১:১০৮; ১৮:৩; ২০:৭৫-৭৬; ২৫:১৬; ২৫:৭৬; ২৯:৫৮-৫৯; ৩০:১৫; ৩১:৯; ৩৪:৩৭; ৩৫:৩৫; ৩৮:৪৯-৫৪; ৩৯:২০; ৪০:৪০; ৪১:৩১-৩২; ৪২:২২; ৪৪:৫৬;.৫৪:৫৪; ৬৫:১১; ৮৫:১১; ৯৮:৭-৮; ১৩:২৩-২৪; ২১:১০২; ৩৬:৫৫-৫৮; ৩৭:৪০-৪৯; ৩৯:৭৩-৭৪; ৭৬:১৩-১৪; ৭৭:৪১-৪৪; ৭৮:৩১-৩৬; ৮৩:২৩-২৪; ৮৩:৩৫।
হে আল্লাহ, তুমিই আমাদের একমাত্র রব্ব, তুমিই একমাত্র দানকারী; আমরা তোমারই নিকট চিরস্থায়ী জান্নাতের দারুস সালামের অফুরুন্ত নিয়ামত প্রার্থনা করছি।
মন্তব্যসমূহ